মিডিয়া ফ্রন্টলাইন একটি আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। বিশ্বব্যাপী কভিড- ১৯ মহামারির মধ্যবর্তী স্বাস্থ্যখাতের সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১ জুন ২০২০ সালে এটির যাত্রা। দেশের খ্যাতনামা প্রবীণ ও নবীন সাংবাদিকদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানটির আত্মপ্রকাশ ঘটলেও পরবর্তীতে কতিপয় মানবদরদি চিকিৎসক, শিক্ষক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি এবং দানশীল ব্যক্তিবর্গ এতে সম্পৃক্ত হন।
প্রথিতযশা ও প্রবীণ সাংবাদিক শেখ নজরুল ইসলাম মিডিয়া ফ্রন্টলাইনের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর নিরলস প্রচেষ্টা ও উদ্যোগে দেশে অঞ্চলভিত্তিক রোগ প্রবণতা অনুসন্ধানে স্বাস্থ্যবিটে কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন। রাজধানী ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশকে ৩টি সমন্বিত অঞ্চলে বিভক্ত এবং ১৭টি জোন গঠনের মাধ্যমে রোগ প্রবণতা অনুসন্ধান ও গবেষণা শুরু করে মিডিয়া ফ্রন্টলাইন। প্রতিটি জেলায় কমপক্ষে একজন এবং বিশেষ বিশেষ জেলায় এক বা দুই-এর অধিক প্রতিনিধি (ফিল্ড রিসার্চ অফিসার) এর মাধ্যমে আমরা জরিপ পরিচালনা করছি।
রোগ প্রবণতা অনুসন্ধান ও গবেষণায় আমাদের প্রধান উৎস রোগী। দেশের সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল/ক্লিনিক, প্রাইভেট ডাক্তার চেম্বার ও মেডিসিন শপে আগত রোগীর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে আমরা জরিপ পরিচালনা করে থাকি। বিশেষ করে চিকিৎসকের কাছ থেকে রোগীর নেয়া ব্যবস্থাপত্র আমাদের জরিপ পরিচালনা ও গবেষণার প্রধান ক্ষেত্র।
সারা দেশে প্রায় ১৩০ জন মাঠকর্মী, ১৭ জন জোন সুপারভাইজার, ৩ জন এরিয়ার কো-অর্ডিনেটরের মাধ্যমে জরিপ পরিচলনা কার্যক্রম চলছে। জরিপের ফলাফল চিহ্নিত, অনুসন্ধান ও গবেষণায় রত আছেন প্রধান গবেষক, অতিরিক্ত প্রধান গবেষকসহ এক ডজন কর্মকর্তা। আমাদের গবেষণা পত্র ও প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণসহ জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়ে আসছে।
আশার কথা হচ্ছে, মিডিয়া ফ্রন্টলাইন রোগ প্রবণতা বিষয়ে গবেষণায় স্বাস্থ্যখাতের ক্ষুদ্র একটি সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে অবদান রাখার জন্য প্রতিষ্ঠিত হলেও পরবর্তীতে এটি দেশের প্রান্তিক দরিদ্র জন্যগোষ্ঠির আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, শিক্ষার প্রসার এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার সংরক্ষণ ও গণতন্ত্রের বিকাশে একটি স্বেচ্ছাসেবী ও বুদ্ধিবৃত্তিক সংগঠন হিসেবে কাজ করার উদ্যোগ নেয়। ফলে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ সমাজ সেবা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এবং জয়েন স্টোক কোম্পানিতে নিবন্ধিত হওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে। ফলশ্রুতিতে, ইতিমধ্যে মিডিয়া ফ্রন্টলাইন যৌথ নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান জয়েন স্টোক কোম্পানিতে নিবন্ধিত হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরও খুব দ্রুতই আমাদের আবেদনে সাড়া দেবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।
এছাড়া জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান হিসেবেও মিডিয়া ফ্রন্টলাইন প্রথম থেকেই সক্রিয়া ভূমিকা পালন করছে। ২০২২ সালের অক্টোবর ‘খবর সংযোগ’ নামের অনলাইন নিউজ পোর্টাল দিয়ে গণমাধ্যমে আমাদের যাত্রা শুরু হলেও মাত্র একবছরের ব্যবধানে প্রিন্ট সংস্করণেও মিডিয়া ফ্রন্টলাইন সক্রিয় অংশগ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে। ‘খবর সংযোগ’ ইতিমধ্যে ডিএফপি এনলিস্টমেন্ট হয়েছে। সরকারের বিশেষ সংস্থার ছাড়পত্রও পেয়েছে। এখন কেবলমাত্র আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র বাকি। আমরা খুব দ্রুতই প্রিন্ট সংস্করণ প্রকাশনায় আসছি।
Our mission:
ক) স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষার প্রসার ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখা এবং সকল মানুষের কল্যাণে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও বৃদ্ধিবৃত্তিক আত্মগঠন।।
(খ) গণতন্ত্রের বিকাশ, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করা।
(গ) দেশের স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নাগরিকদের মধ্যে তথ্য প্রচার ও উদ্বুদ্ধ করা।
Our vision:
প্রান্তিক দরিদ্র জনগোষ্ঠির স্বাস্থ্যসেবায় সচেতনতা সৃষ্টি ও মানোন্নয়ন, শিক্ষার প্রসার, আত্মকর্মসংস্থানে উদ্বুদ্ধকরণ এবং সর্বস্তরে গণতন্ত্রের বিকাশ, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা।
Our organization:
১. মিডিয়া ফ্রন্টলাইন বিডি
ক. হেলথ সেক্টর (বিএমআরসি এন্ড স্বাস্থ্য অধিদপ্তর)
খ. সমাজ কর্ম ও শিক্ষা (সমাজ সেবা)
গ. মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও সুশাসন (ইসি)
২. গণমাধ্যম ও গণসংযোগ
ক. খবর সংযোগ (অনলাইন নিউজ এন্ড ডিজিটাল)
খ. খবর সংযোগ (প্রিন্ট সংস্করণ)
